শব্দেরা দিয়ে চলে ঠেকনাই
শব্দহীনতা থাকে আড়ালে
ছন্দবিলাসী কিছু চেকনাই
ধরা পড়ে কাছে গিয়ে দাঁড়ালে
গাছের ছায়ার মতো নির্মাণ
হারিয়েছে কবিতারা আজ কি?
কবিতায় কলমের মনপ্রাণ
পড়ে নেই, পড়ে শুধু সাজ কি?
খুলে রাখো কবিতার আয়োজন
তোমার ত্বকেই আছে বেশবাস
তোমার খাতায় থাক আলোড়ন
আরোপবিহীন কিছু নিঃশ্বাস
I thought I might write here...Why? well, I've to think hard... :) I guess a web log is self explanatory... although not quite like my Personal Diary, Its like my little room that has a large window.
Saturday, July 31, 2010
জ্বর
এই তো আমার সাবেক কালের ঘর
যেখানে ঘর, কান পাতলেই সেখানে বন্দর।
সব জ্বর একদিন না একদিন ছেড়ে যায়। সেবার যখন জ্বর হয়েছিলো, আর সকলের মতো আমিও ভেবেছিলাম সারবে না কোনোদিন। এই শেষ। এইবার একটা এসপার- ওসপার না হয়ে যাচ্ছেনা। ভয়ে ভয়ে আছি আর কোথা থেকে একটা চোরা আনন্দ এসে সব গোলমাল করে দিচ্ছে। মাঝে মাঝেই মাপছি- ও বাবা এতো! আমার কপালে এত জ্বরও থাকতে পারে! কিছুই রুচছে না মুখে আর সবার সাথে কথায় কথায় ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে। উত্তাল ঝগড়া করছি আর ভাবছি এটা কি বিকার? এরকম কেন হচ্ছে আমার! এরকম সবার হয় নাকি?
চুপি চুপি খোঁজ নিতে লাগলাম। জোর রক্ত পরীক্ষা টরিক্ষা। সিম্পটম মিলে যেতে যেতে শেষে দারুণ বাড়াবাড়ি হলো। ভয়, ভাবনা কিছুই তেমন নেই আর। ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে।
নিজের নাড়ী ধরে বসে আছি, সবকিছুর মধ্যে এই এক জ্বালা হয়েছে। কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। জ্বরের সঙ্গেই তখন আমার একমাত্র যোগাযোগ। এই সময় একদিন কিছু কিছু স্বর আমায় ছেড়ে চলে গেলো কৈশোরের সরলতার মতো। নাকি আমি ছেড়ে এলাম তাদের? ঠিক বুঝতে পারলাম না। সেই সব কোমল স্বরের জন্য দুঃখ হলো। পাহাড়-অরণ্যের কিছু স্বপ্নও গেলো ছেড়ে। কচি লাউয়ের মতো সবুজ স্বপ্ন, ফায়ারপ্লেস আগুনের মতো গনগনে।
সারা দুপুর পায়রাদের ওড়াউড়ি দেখি পাশের বাড়ির কার্নিশে। দেখি কথা চিনতে পারিনা কারো। শব্দগুলো ভোঁতা ভোঁতা হয়ে কানে ঢোকে, কোন ছবি হয়না। কেমন যেন একা হয়ে গেলাম।
তাও আমি কাটাচ্ছিলাম বালিশে ঠেস দিয়ে, জ্বরের পাণ্ডুলিপি পড়ে পড়ে।
তারপর একদিন ঘাম দিয়ে ছাড়ার মতো হল। জ্বরের অভ্যাস ছিলনা, আবার ভয় পেলাম। এক পা এক পা করে এগোচ্ছি আর খারাপ লাগছে। অপরাধী লাগছে। নির্বোধ। এই জ্বর তবে শাশ্বত ছিলনা? এইভাবে জ্বর সেরে যায়? এত উত্তাপ মিথ্যা ছিল তবে! অবিশ্বাস্য লাগছিলো।
কাঠ-কয়লা দিয়ে হিজিবিজি লিখি, মুছেও ফেলি তাড়াতাড়ি। তারপর দেখতে দেখতে সব তপ্ত পোশাকের রঙ ফিকে হয়ে এলো। পাণ্ডুলিপি থেকে শুকিয়ে এলো বর্ষার জল। দেখতে দেখতে পুরোনো হলো সব গভীর সৌন্দর্যময় শীলালিপি। সব আশ্লেষ, মনোযোগ।
ধুলো পড়ে এলো শোকে, রেডিওতে। সেই সব গান আর বাজেনা কোথাও। অবাক ও বিষণ্ণ চোখে পৃথিবীর দিকে তাকালাম আবার। কপালে হাত দিয়ে দেখি- ঠাণ্ডা মতন লাগে। তারপর জ্বর সেরে গেলো আর সেটা বিশ্বাসও হলো আমার। শুধু কতগুলো ঘোর লাগা দিন আর রাত্রি বাঁধা পড়ে আছে জ্বরের কাছে, কোথায় যেন।
যেখানে ঘর, কান পাতলেই সেখানে বন্দর।
সব জ্বর একদিন না একদিন ছেড়ে যায়। সেবার যখন জ্বর হয়েছিলো, আর সকলের মতো আমিও ভেবেছিলাম সারবে না কোনোদিন। এই শেষ। এইবার একটা এসপার- ওসপার না হয়ে যাচ্ছেনা। ভয়ে ভয়ে আছি আর কোথা থেকে একটা চোরা আনন্দ এসে সব গোলমাল করে দিচ্ছে। মাঝে মাঝেই মাপছি- ও বাবা এতো! আমার কপালে এত জ্বরও থাকতে পারে! কিছুই রুচছে না মুখে আর সবার সাথে কথায় কথায় ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে। উত্তাল ঝগড়া করছি আর ভাবছি এটা কি বিকার? এরকম কেন হচ্ছে আমার! এরকম সবার হয় নাকি?
চুপি চুপি খোঁজ নিতে লাগলাম। জোর রক্ত পরীক্ষা টরিক্ষা। সিম্পটম মিলে যেতে যেতে শেষে দারুণ বাড়াবাড়ি হলো। ভয়, ভাবনা কিছুই তেমন নেই আর। ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে।
নিজের নাড়ী ধরে বসে আছি, সবকিছুর মধ্যে এই এক জ্বালা হয়েছে। কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। জ্বরের সঙ্গেই তখন আমার একমাত্র যোগাযোগ। এই সময় একদিন কিছু কিছু স্বর আমায় ছেড়ে চলে গেলো কৈশোরের সরলতার মতো। নাকি আমি ছেড়ে এলাম তাদের? ঠিক বুঝতে পারলাম না। সেই সব কোমল স্বরের জন্য দুঃখ হলো। পাহাড়-অরণ্যের কিছু স্বপ্নও গেলো ছেড়ে। কচি লাউয়ের মতো সবুজ স্বপ্ন, ফায়ারপ্লেস আগুনের মতো গনগনে।
সারা দুপুর পায়রাদের ওড়াউড়ি দেখি পাশের বাড়ির কার্নিশে। দেখি কথা চিনতে পারিনা কারো। শব্দগুলো ভোঁতা ভোঁতা হয়ে কানে ঢোকে, কোন ছবি হয়না। কেমন যেন একা হয়ে গেলাম।
তাও আমি কাটাচ্ছিলাম বালিশে ঠেস দিয়ে, জ্বরের পাণ্ডুলিপি পড়ে পড়ে।
তারপর একদিন ঘাম দিয়ে ছাড়ার মতো হল। জ্বরের অভ্যাস ছিলনা, আবার ভয় পেলাম। এক পা এক পা করে এগোচ্ছি আর খারাপ লাগছে। অপরাধী লাগছে। নির্বোধ। এই জ্বর তবে শাশ্বত ছিলনা? এইভাবে জ্বর সেরে যায়? এত উত্তাপ মিথ্যা ছিল তবে! অবিশ্বাস্য লাগছিলো।
কাঠ-কয়লা দিয়ে হিজিবিজি লিখি, মুছেও ফেলি তাড়াতাড়ি। তারপর দেখতে দেখতে সব তপ্ত পোশাকের রঙ ফিকে হয়ে এলো। পাণ্ডুলিপি থেকে শুকিয়ে এলো বর্ষার জল। দেখতে দেখতে পুরোনো হলো সব গভীর সৌন্দর্যময় শীলালিপি। সব আশ্লেষ, মনোযোগ।
ধুলো পড়ে এলো শোকে, রেডিওতে। সেই সব গান আর বাজেনা কোথাও। অবাক ও বিষণ্ণ চোখে পৃথিবীর দিকে তাকালাম আবার। কপালে হাত দিয়ে দেখি- ঠাণ্ডা মতন লাগে। তারপর জ্বর সেরে গেলো আর সেটা বিশ্বাসও হলো আমার। শুধু কতগুলো ঘোর লাগা দিন আর রাত্রি বাঁধা পড়ে আছে জ্বরের কাছে, কোথায় যেন।
Thursday, July 29, 2010
ক্ষণভঙ্গুর
বললে বিশ্বাস করা শক্ত, এই বিল্ডিং এর কাউকে চিনিনা আমি। অথচ এখানে আছি অনেকদিন ধরে।
চিনিটা, তেলটা ফুরিয়ে গেলে চাইতে যাওয়া যায় এমন একটাও পড়শী নেই এখানে আমার। এখানে কেন, কোত্থাও নেই।
অথচ আমি জানি কয়েক ধাপ নিচের অ্যাপার্টমেন্টে কাজ চলছে। এত এত ড্রিলিং করে, সারাদিন ধরে ঘষে ঘষে কী তৈরী করছে বা নষ্ট করে ফেলছে জানিনা।তবে হচ্ছে বড়সড় কিছু একটা। সামনের করিডোর বা আশেপাশের সিঁড়িগুলোকে তাই রুগ্ন দেখায়, যেন ক্রনিক অ্যানিমিয়ায় ভুগে ভুগে সাদা হয়ে গেছে।
এখানকার রান্নাঘরের জানালার উল্টোদিকে যাদের জানালা তারা খুবই হিং ও কারিপাতা বিলাসী। মাঝে মাঝে ঘি দিয়ে কিছু রাঁধে, গন্ধে দারুণ খিদে পেয়ে যায়। তাড়াতাড়ি আলো নিভে যায় ওদের রান্নাঘরে। আবার রোজ সকাল সকাল রান্না চাপিয়ে দেয়, কি শীত কি গ্রীষ্ম ছ'টা বাজতে না বাজতেই প্রেশার কুকারে হুইসল পড়তে থাকে। একদিন শুনি রাত বারোটায় হুইসল পড়ছে, অবাক হয়েছিলাম।
এদের ঠিক নিচে যাদের খাবার ঘরের জানালা, তাদের বাড়িতে একটি ছোট্ট মেয়ে থাকে। ময়নাপাখির মতো সারাদিন আধো আধো মারাঠীতে বকর বকর করতে থাকে সে। একদিন লোডশেডিং এর সময় শুনেছিলাম সে তার মাকে জিগ্যেস করছিল মোমবাতিটা (এরা বলে মেমবাত্তি) খালি ছোট হয়ে যাচ্ছে কেন? কে নিয়ে যাচ্ছে? ময়নাপাখির মা সন্ধ্যা হলেই সজোরে হিন্দি সিরিয়াল চালিয়ে দেন আর রাতের দিকে কখনো লোডশেডিং হলে যিনি গান ধরেন তিনি সম্ভবত ময়নাপাখির বাবা। তাঁর গলায় কিশোরকুমার ছাড়া আর কারো গান শুনিনি, নির্ঘাত ফ্যান। মন্দ নয় কিন্তু গলাটা, বেশ সুরে। তবে ওঁর পুঁজি অল্প, তিনটে গান রিপিট হতে থাকে।
একদিন বৃষ্টির সময় দেখি ময়নাপাখিটা জানলা দিয়ে একটা কাপ বাড়িয়েছে বৃষ্টি ধরবে বলে!
এদের নিচের অ্যাপার্টমেন্টে একটি বাঙালী পরিবার থাকে। যেদিন তাঁদের শুঁটকি মাছ রান্না হয় সেদিন সমস্ত জানালা ভালো করে বন্ধ করেও গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়না। আজ অব্দি চোখে দেখিনি ঐ পরিবারের কাউকে, টুকটাক বাংলা শব্দ ভেসে আসতে শুনেছি। একদিন গানও শুনেছি- মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি!
বারান্দায় দাঁড়ালে কয়েকটা গাছের আড়ালে যাদের বারান্দা দেখা যায় তাদের রেলিং থেকে লম্বা লম্বা শাড়ি ঝোলে। বারান্দায় শাড়ি ঝুলতে খুব একটা দেখা যায়না আজকাল তাই চোখে পড়েছিল। একদিন বৃষ্টি নামার ঠিক আগে একটি মেয়ে তাড়াতাড়ি করে তুলছিলো শাড়িগুলো, তার হাতের কাচের চুড়ি ঝিনিক ঝিনিক বাজছিল বেশ।
কাচের চুড়ির মতো রিস্কি জিনিস হাতে পরে এরা নিশ্চিন্তে দিনের এত কাজ কিকরে করে যায় কোনোদিন ভেবে পাইনি।
চিনিটা, তেলটা ফুরিয়ে গেলে চাইতে যাওয়া যায় এমন একটাও পড়শী নেই এখানে আমার। এখানে কেন, কোত্থাও নেই।
অথচ আমি জানি কয়েক ধাপ নিচের অ্যাপার্টমেন্টে কাজ চলছে। এত এত ড্রিলিং করে, সারাদিন ধরে ঘষে ঘষে কী তৈরী করছে বা নষ্ট করে ফেলছে জানিনা।তবে হচ্ছে বড়সড় কিছু একটা। সামনের করিডোর বা আশেপাশের সিঁড়িগুলোকে তাই রুগ্ন দেখায়, যেন ক্রনিক অ্যানিমিয়ায় ভুগে ভুগে সাদা হয়ে গেছে।
এখানকার রান্নাঘরের জানালার উল্টোদিকে যাদের জানালা তারা খুবই হিং ও কারিপাতা বিলাসী। মাঝে মাঝে ঘি দিয়ে কিছু রাঁধে, গন্ধে দারুণ খিদে পেয়ে যায়। তাড়াতাড়ি আলো নিভে যায় ওদের রান্নাঘরে। আবার রোজ সকাল সকাল রান্না চাপিয়ে দেয়, কি শীত কি গ্রীষ্ম ছ'টা বাজতে না বাজতেই প্রেশার কুকারে হুইসল পড়তে থাকে। একদিন শুনি রাত বারোটায় হুইসল পড়ছে, অবাক হয়েছিলাম।
এদের ঠিক নিচে যাদের খাবার ঘরের জানালা, তাদের বাড়িতে একটি ছোট্ট মেয়ে থাকে। ময়নাপাখির মতো সারাদিন আধো আধো মারাঠীতে বকর বকর করতে থাকে সে। একদিন লোডশেডিং এর সময় শুনেছিলাম সে তার মাকে জিগ্যেস করছিল মোমবাতিটা (এরা বলে মেমবাত্তি) খালি ছোট হয়ে যাচ্ছে কেন? কে নিয়ে যাচ্ছে? ময়নাপাখির মা সন্ধ্যা হলেই সজোরে হিন্দি সিরিয়াল চালিয়ে দেন আর রাতের দিকে কখনো লোডশেডিং হলে যিনি গান ধরেন তিনি সম্ভবত ময়নাপাখির বাবা। তাঁর গলায় কিশোরকুমার ছাড়া আর কারো গান শুনিনি, নির্ঘাত ফ্যান। মন্দ নয় কিন্তু গলাটা, বেশ সুরে। তবে ওঁর পুঁজি অল্প, তিনটে গান রিপিট হতে থাকে।
একদিন বৃষ্টির সময় দেখি ময়নাপাখিটা জানলা দিয়ে একটা কাপ বাড়িয়েছে বৃষ্টি ধরবে বলে!
এদের নিচের অ্যাপার্টমেন্টে একটি বাঙালী পরিবার থাকে। যেদিন তাঁদের শুঁটকি মাছ রান্না হয় সেদিন সমস্ত জানালা ভালো করে বন্ধ করেও গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়না। আজ অব্দি চোখে দেখিনি ঐ পরিবারের কাউকে, টুকটাক বাংলা শব্দ ভেসে আসতে শুনেছি। একদিন গানও শুনেছি- মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি!
বারান্দায় দাঁড়ালে কয়েকটা গাছের আড়ালে যাদের বারান্দা দেখা যায় তাদের রেলিং থেকে লম্বা লম্বা শাড়ি ঝোলে। বারান্দায় শাড়ি ঝুলতে খুব একটা দেখা যায়না আজকাল তাই চোখে পড়েছিল। একদিন বৃষ্টি নামার ঠিক আগে একটি মেয়ে তাড়াতাড়ি করে তুলছিলো শাড়িগুলো, তার হাতের কাচের চুড়ি ঝিনিক ঝিনিক বাজছিল বেশ।
কাচের চুড়ির মতো রিস্কি জিনিস হাতে পরে এরা নিশ্চিন্তে দিনের এত কাজ কিকরে করে যায় কোনোদিন ভেবে পাইনি।
Subscribe to:
Posts (Atom)
