রাণী আমি, জানোইতো। রাজধানী ছেড়ে,
যাবার উপায় নেই। নইলে হয়ত-
কটাদিন সত্যি সত্যি
জঙ্গলে-উপত্যকায় দুবৃত্তের মত
কাটাতাম তোমার সঙ্গে।
যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা হত, দারুণ লুঠপাট!
ধান-দূর্বা ফেলে দিয়ে,
নীল বসন উড়িয়ে দিতাম ঝড়ে,
মেখে নিতাম
পলাশরঙা ধুলো আর
আমার শিকার করা দেখে তুমি গোপন ঈর্ষায়
পাগল হয়ে যেতে-
ঝলসে নিতাম মাংস
গুহায় আগুন জ্বেলে,
চাখতে চাখতে পুড়িয়ে ফেলতাম ঠোঁট-
(রাজভোগে কখনো অসহ্য
কোন স্বাদ থাকেনা; ওগুলো গুজব।)
তছনছ করা যেত একটা
সাবেকী রুপকথা।
বেশ হোত, বেশ হোত- তাইনা ডাকাত?
'কটাদিন' কেন?
বুঝবে না, রাজ্যপাট নেই তোমার।
বেশীদিন পাশাপাশি- খেলা নয়,
আসল যুদ্ধ হবে। দুলে দুলে উঠবে
পায়ের তলার মাটি।
পরস্পরের রক্ত লাগবে হাতে।
ওসব শিরদাঁড়ার ক্ষত, কোনোদিন সারেনা।
ভয় দেখাচ্ছি?
ভয় পাচ্ছি বলো। ক্ষয়ে যাওয়াকে বড় ভয় হয়।
আবার একটা দম-চাপা যুদ্ধ আর
তারপরের সাতমহলা চুক্তি-
ঐ শান্তির কথা ভাবতে পারিনা।
তাছাড়া, একটা ভুল হচ্ছে
তোমার। আমার রক্তের রঙ নীল, মনে রেখো।
এই রাজ্যের ভালোমন্দও সব আমাকেই দেখতে হয়।
--------------
(সুয়োরাণীর চিঠি)
1 comment:
Wonderful ... :)
Post a Comment