Sunday, August 12, 2012

রুদ্রপলাশ

মনে আছে একদিন এত লোডশেডিং
অন্ধকারে কুপি জ্বলছে দূরে
মোমবাতির আলোয় আমরা

কি সুখী দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম
অস্থায়ী ছোট একটা বইয়ের দোকানে

আর তুমি ফস করে কিনে দিয়েছিলে
খড়কুটো। তোমার ঝোলাব্যাগে থাকতো
টাটকা আষাঢ়ে মেঘ আর ঝরে পড়া
দু-এক আঁজলা ছাতিমফুল কি রুদ্রপলাশ

যেসব নিমগ্ন রাস্তা দিয়ে এসে
তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে ঠিক আমার
বাসে তুলে দিতে আর সকালের গল্প বলতে

ফেরার সেই সব জনাকীর্ণ রাস্তায়
আজ আর কোনো গাছ নেই।

১১-০৮-২০১২

Monday, July 30, 2012

জুলাই শেষ হয়ে এলো।

বর্ষা আসে না তবে গ্রীষ্মের দাপট কমে আসে। ক্লান্ত পাতার গায়ে কোথা থেকে একটু হলুদ লাগে, একটু আপনভোলা হয়ে থাকে গাছ। পাখি আর পোকাদের আনাগোনা বাড়ে। এই সব ব্যস্ত ডাকাডাকি আর ওড়াউড়ি কমে আসে বিকেলের দিকে। ওরা কাকে এমন মনপ্রাণ দিয়ে চিনেছিল তার দাবী কোথাও থাকে না। কেউ কেউ হয়তো ডাকে একটানা। কখনো ডাকটা শোনায় দীর্ঘ কোনো প্রশ্নের মতো। কেবল এক অনন্ত অভ্যাসের ঝোঁকে তৈরী হয়ে চলা। মেঘের ছবির মতো প্রত্যাশাহীন। সমস্ত দিনের মধ্যে, সমস্ত রাতের মধ্যে আকাশের গান হয়ে মিশে থাকে।

Thursday, July 12, 2012

আষাঢ়ে

লুকিয়ে গেছি দেয়ালঘড়িটাকেও
সময়ঝাঁকায় ইচ্ছে নিলাম‌ চুরি
পুরোনো ছাদ বন্ধ বলো কাকে
ঈশাণ খোপে নামছে বটের ঝুরি

সেবার ভীষণ ঝড়ের মাথায় এসেই
আছড়ে কবাট ক্ষেপিয়ে দিলে ভয়
এবার এলে পুবের হাওয়ার দেশে
দুঃখ চেপে আগের মতন নয়

হে প্রত্যাশী এমন আষাঢ়খাতায়
রেলের শোলোক ঝমঝমিয়ে এসো
দেখতে কেমন মেঘের জাজিম পাতা
যাচ্ছে ধুয়ে তোমার প্রেমের শেষ-ও